Friday, April 19, 2019

নুসরাত জাহান রাফির আত্মত্যাগের পরিবর্ত্তে এবং নাম না জানা অসংখ্য নুসরাত দের বাঁচানোর জন্য আমাদের করণীয় |


** সহিংস দৃশ্যর কারণে, দর্শক বিবেচনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


18 April 2019

Nusrat Jahan Rafi: Burned to death for reporting sexual harassment


এগুলো ইদানিংকার বাংলাদেশ এর চিত্র | এই চিত্র বদলাতে নিম্নোক্ত করণীয়গুলো ভাবা যেতে পারে- 

১ | এনজিও এবং সাংবাদিকতা ভিত্তিক কার্যক্রম-


এনজিও এবং সাংবাদিকরা কিন্তু কোনো মানুষের বা পরিবারের খুব কাছাকাছি যেতে পারেন বা যে কোনো মানুষ চাইলেই যেন তাদের সাথে কথা বলতে পারে কোনো অভিযোগ নিয়ে এমন সিস্টেম চালু করতে হবে | তারা, বিশেষ করে সাংবাদিক বন্ধুরা যদি খবরের পেছনের খবর আগে থেকেই সংগ্রহ করে নিম্নোক্ত সংগঠন সমূহের অভিযোগ কেন্দ্র গুলোকে  অবহিত করে তবে অনেক খারাপ খবর থেকে আমাদের বেঁচে যাবার সম্ভাবনা তৈরী হয় | বর্তমানে বেশিরভাগ এনজিও যদিও মাইক্রো-ক্রেডিট ভিত্তিক কিন্তু প্রয়োজনে আমাদের মানসিক কাউন্সেলিং এবং  বিচার ও সালিস ভিত্তিক এনজিও গঠন জরুরি | এইসব এনজিও গুলি পরিবার সমূহের কাছে গিয়ে তাদের সম্ভাব্য অপরাধমূলক বিপদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেবে ও যথাযথ পরামর্শ  দেবে কিংবা প্রয়োজনে নিম্নোক্ত সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান সমূহে খবর দেবে |

২ | সংগঠন ভিত্তিক কার্যক্রম -


পাড়া-মহল্লা ভিত্তিক সরকারি, বেসরকারি, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক এবং স্কুল কলেজ, ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা, সালিস ও বিচার কেন্দ্র  ভিত্তিক  অপরাধ অভিযোগ কেন্দ্র  বা # মি টু কেন্দ্র   গঠন যেগুলো  একইসঙ্গে একক ভাবে বা সমন্বিত ভাবে কাজ করবে | পাড়া মহল্লার উক্ত  সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান গুলোর অফিসই একটি করে কেন্দ্র হতে পারে |নুসরাত এর ক্ষেত্রে তার মা ক্ষমতাসীন রাজনৌতিক দল এবং পুলিশ প্রসাশন কে জানালেও কাজ হয় নি এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই কারণে যে তারাই জড়িত থাকে বড়ো ধরণের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অপরাধ সমূহে | এটি কম বেশি সব দেশেই ঘটে | সেজন্য স্কুল কলেজ, ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও   বেসরকারি, স্বেচ্ছাসেবী  এবং অরাজনৈতিক কেন্দ্রও থাকতে হবে |
এটা আসলে কাউন্টার ব্যালান্স পদ্ধতি | একটা দুটো কেন্দ্র থাকলে রক্ষকই ভক্ষক হয়ে যেতে পারে বা অপরাধীদের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে | যেটা ঘটেছে নুসরাত এর ক্ষেত্রে |

যাহোক যে কোনো কেন্দ্রে কোনো অভিযোগ আসা মাত্রই তা সব কেন্দ্রের একটি কমন ওয়েবসাইট এ আপলোডেড  হবে ও এটার স্টেটাস সম্পর্কে যে কেউ সেই ওয়েবসাইট এ গেলেই জানতে পারবে কিংবা জানতে চাইতে পারবে | আবার  গোপনীয়তার প্রয়োজন থাকলে নিদ্রিষ্ট  অডিয়েন্সই শুধু দেখতে পারবে |

এই কমন ওয়েবসাইট টি সরকারের উদ্যোগে তৈরী করা হলে এর বিষয়ে শিশু-কিশোরে-কিশোরী ও তাদের অভিভাবকদের জানাতে হবে | মোবাইল  এর এপস ও হতে পারে | যদিও এ ধরণের ওয়েবসাইট সরকারের আছে, কিন্তু প্রচারের অভাবে কিংবা অভিযোগ করলেও ফল না পাওয়ায় এগুলো তেমন সফল নয় | তাই এগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে অডিট করা জরুরি | মনে রাখতে হবে, ওয়েবসাইট গুলোর কাজ হবে, ঘটনা যাতে না ঘটে, অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে | ঘটনা ঘটার সময় ৯৯৯ বা অন্নান্য হটলাইনে যোগাযোগ করতে হবে কিন্তু সাহায্য পৌঁছানোর আগেই সব শেষ হয়ে যেতে পারে | তাই প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিওর | এই কমন ওয়েবসাইট টির পেছনে যারা কাজ করবেন তাদেরকে তাই যথেষ্ট দায়িত্বশীল হতে হবে |  ঘটনা ঘটার আগেই যেন তারা ব্যবস্থা নেন ও ব্যবস্থা নেবার পর  আরো কিছু বাড়তি সময় মনিটরিং করতে হবে না হলে অপরাধী সুযোগ বুঝে আবারো চেষ্টা করতে পারে |

এটা কিন্তু সত্যি যে, যেকোনো অভিযোগ এর বাদী-বিবাদী কিন্তু উপরোক্ত কোনো না কোনো সামাজিক সংগঠনের  সাথে জড়িত | সুতরাং কোনো সংগঠনে যদি সেই সংগঠনের কারো বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ আসে আর সেই সংগঠনে যেহেতু আরো মানুষ থাকে সুতরাং অভিযোগ টি আসা মাত্রই, উক্ত সংগঠনের অন্যান্য মানুষ বা সদস্যকে কে জানাতে হবে কেননা সংগঠনের সবাই কিন্তু একযোগে অপরাধ করে না, কিছু না কিছু মত-পার্থক্য থাকে | বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই শক্তি টি ই সমাধান করে ফেলতে পারে তবে এক্ষেত্রে এখন থেকে সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন ও দায়িত্তত্বশীল হতে হবে |

এটা সত্যি যে, যে অভিযোগ করছে তার ত্রূটি আছে বলে মনে হতে পারে, সেটা যাই হোক না কেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রমান সাপেক্ষে নিরপেক্ষ মতামত দিলে, বাদী-বিবাদী উভয়েই সতর্ক হবে ও ঘটনা বেশি দূর না যাবারই  কথা | এক্ষেত্রে মুখ রক্ষার জন্য  গোপনীয়তার মাধ্যমে পৃথকভাবে উভয়পক্ষের সাথে বসতে হবে | যখন উভয়পক্ষই জেনে যাবে যে, তাদের সগঠন বা প্রতিষ্ঠান এর সবাই জানে বিষয়টি, তখন উভয়েই সতর্ক হবে | অনেক ক্ষেত্রে যখন প্রতিষ্ঠান এর কর্তা ব্যক্তি রা জড়িত থাকে তখন সাব-অরডিনেট  দের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় | তবে প্রাইভেট অর্গানাইজেশন  না হলে,ভয় না পেয়ে সবাই একত্রে কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে বরং আপনাদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে! একটু ষড়যন্ত্রমূলক বুদ্ধি এটা!

তবে রুখে দাঁড়ানো যদি সত্যিই চাকরির জন্য সমস্যা হয়,  সেক্ষেত্রে অন্যান্য  কেন্দ্রসমূহ  ও পাড়া-মহল্লার সিনিয়রদের মাধ্যমে মীমাংসা করার চেষ্টা করা যেতে পারে না হলে পুলিশ প্রশাসন কে অবহিত করতে হবে | পুলিশ প্রশাসন বা কোনো রাজনৈতিক কেন্দ্র বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি পক্ষপাত দেখায় তবে অন্য যেকোনো  কেন্দ্র চাইলে আরো উর্ধতন প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে পারে | যদি এতেও পক্ষপাত দৃষ্টিগোচর হয় তবে সাধারণ জনগণকে অবহিত করুন ও বিচার বিভাগের দ্বারস্থ হন |

তবে  স্মরণ  রাখতে  হবে  যে, ওপরের যে কোনো ধাপই বাদী-বিবাদীর আরও রাগ এর উদ্রেক ঘটাতে পারে তাই যে কোনো অঘটন যে হতে পারে এ বিষয়ে উভয়কেই সতর্ক থাকতে বলতে হবে ! আর এটা  তখনি বেশি ঘটতে পারে যখন প্রমান থাকার  পরও  পক্ষপাতিত্ব হয় | তাই এই বিষয়ে সবার  সতর্কতা জরুরি |এই অপরাধ অভিযোগ কেন্দ্র খোলার বিষয়ে  রাজনৈতিক দলসমূহ এবং স্কুল কলেজ ইউনিয়ন পৌরসভা উপজিলা ও সালিস বা বিচার কেন্দ্র সমূহের  দায়িত্ব বেশি | বিশেষ করে রাজনৈতিক দল এবং সালিস ও বিচার কেন্দ্র সমূহের কার্যক্রম বেশি জরুরি | তাদের এখন থেকে নানা ধরণের অপরাধ এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে | উপরোক্ত সমস্ত সংগঠনের  ভেতরেই মাত্র কিছু সংখ্যক অপরাধীদের জন্য সংগঠন গুলোর ভাবমূর্তি নষ্ট হয় তাই উক্ত সমস্ত সংগঠন গুলোর দায়িত্ব এড়িয়ে গেলে হবে না | অনেক ক্ষেত্রে সচেতন নাগরিকদেরও এগিয়ে আসা উচিত | আসলে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু যৌন নিপীড়ন বিরোধী কমিটি আছে কিন্তু অকার্যকর | এগুলোকে সক্রিয় করা উচিত |

যাই হোক না কেন উক্ত সমস্ত সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান বা সচেতন ব্যক্তি বর্গ কে অবশ্যই এ ব্যপারে  দায়িত্বশীল ও তৎক্ষণাৎ কার্যক্রম হাতে নেওয়ার মতো ও জবাবদিহিতা মূলক পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে | যদি তারা কোনো ঘটনা এড়াতে পারেন তবে তাদের পুরস্কৃত করলে এই পেশাদারিত্ব অনেক গুনে বৃদ্ধি পেতে পারে | এই পেশাদারিত্ব এ  জন্যই গুরুত্বপূর্ণ কেননা এসব প্রতিষ্ঠান কিন্তু বহু আগে থেকেই আছে আর যাদের দায়িত্বশীলতা কিংবা অপরাধ দুর্নীতি ও পক্ষপাতিত্ব নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে | আসলে রাজনৈতিক সরকারগুলো  গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে তাদের ক্ষমতা ঠেকাতে যতটা তৎপর ততটা তৎপর তারা সাধারণ মানুষের জন্য থাকে না |

May 20th, 2018

তনু | 



আবার বিরোধী পক্ষগুলো দেশে অস্থিরতা  সৃষ্টির জন্য নানা রকম অপরাধে মেতে সরকারের গদি নড়াতে চায় যেখানে সাধারণ মানুষেরা এসব অপরাধের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হয় | দেশে যখন কোনো অপরাধ বেশি মাত্র্রায় ঘটে সেখানে এই ধরণের সাবোটাজ থাকতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন | আগুন, সড়ক দুর্ঘটনা, ধর্ষণ, গুপ্ত হত্যা, গায়েব ইত্যাদি যখন বেশি ঘটছে বলে মনে হবে, সাবধান থাকুন | তাই যাবেন কোথায়?
আর অন্য রাজনৈতিক ব্যবস্থা চাইলে এই লিংক গুলো দেখুন -

No need for Political Election!

(এই লিংক গুলো বাংলা ভাষায় করার জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে | আপাতত: গুগল ট্রান্সলেট এর সাহায্য নিতে পারেন | )

তাই যদি আমরা আমাদের ভবিষ্যত বংশধরদের জন্য একটি ভালো বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই তবে আসুন, সবাই এ বিষয়ে কথা বলি |


No comments:

Post a Comment